প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস

ডাঃ মমতাজ খানম ,পিতা-লুৎফর রহমান ও মাতা-নুরজাহান খানের ছয় মেয়ের মধ্যে সবার বড় । গ্রামের বাড়ি মাশুন্দিয়া ,সাতিয়া ,পাবনা । কিন্তু বাবার চাকরির সুবাদে বসবাস ঢাকায় । ঢাকা মেডিকেলে পড়ার সময় পরিচয় হয় তার সহপাঠি ডাঃ মোঃ গোলাম মোস্তফা,পিতা-মৃত গয়েজ ‍উদ্দিন সরদার,মাতা-গোলেনুর বেগম । গ্রাম-নৌবাড়িয়া ,ভাঙ্গুড়া ,পাবনা ।কৃতিত্বের সহিত পড়াশুনা শেষ করার পর দুজন আবদ্ধ হন জীবন সঙ্গী হিসেবে এবং একই সাথে দুজন বিসিএস স্বাস্থ্য হিসেবে তৎকালিন শেরপুর ‍উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ যোগদান করে কর্ম জীবন শুরু করেন ।পরবর্তী উন্নত জীবিকার অন্বেষণে মধ্যপ্রাচের লিবিয়া ও সৌদি আরবে দীর্ঘ সময় কর্মরত থাকা কালীন দুজনে চিকিৎসা বিদ্যায় উচ্চতর ডিগ্রি লাভ করেন ।সফলতার সহিত প্রবাসের কর্ম জীবনকে বিদায় জানিয়ে নাড়ির টানে দেশে ফিরে ,দেশের মানুষের কল্যানে কিছু করার পরিকল্পনা করেন । তারই ধারাবাহিকতায় ধর্মীয় অনুভূতিতে উদ্বদ্ধ হয়ে ভাঙ্গুড়ায়  প্রতিষ্ঠা করেন হাজী গয়েজ উদ্দিন মহিলা ফাজিল মাদ্রাসা , সহায়তা করেন হেফজ মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ।এরপর সাথিয়া ,পাবনায় প্রতিষ্ঠা করনে বাবা মায়ের নামে একটি বালিকা বিদ্যালয় ও একটি  কিন্ডার গার্টেন । এই দম্পতি যখন গ্রামের হত দরিদ্র অসহায় মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসা দিতে ভাঙ্গুড়ায় নিয়মিত আসা যাওয়ায় ,পাবনা জেলার অবহেলিত জনপদ ভাঙ্গুড়ার সাধারন মানুষ মানসম্মত শিক্ষা ,সংস্কৃতি ও খেলাধুলায় অনেক পিছিয়ে এমনকি বিভিন্ন কুসংস্কারে সমাজ অন্ধকারাছন্ন ।তাই তারা তাদের সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে সমাজকে আলোকিত করার লক্ষে ঢাকার শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠগুলোর আদলে একটি মান সম্মত প্রতিষ্ঠান গড়ে তােলার পরিকল্পনা করেন । এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে তারা  ভাঙ্গুড়ার শরৎ নগর বাজারে একটি ভাড়া বাড়িতে ২০০৩সালে শুরু করেন তাদের দুই জনের নামে যুগউপযোগী আধুনিক মমতাজ মোস্তফা আইডিয়াল স্কুল । অল্প দিনে বিদ্যালয়টি পড়াশুনা সহ বিভিন্ন সহ শিক্ষা কার্য্যক্রমে  ব্যাপক  সাড়া ফেলে এলাকায় ।পরবর্তীতে ভাঙ্গুড়া – তারাশ  মুল রোড সংলগ্ন তার  প্রায় দুই একর  ক্রয়কৃত জায়গায়  তাদের ঢাকাস্থ ফ্লাট বিক্রির টাকায় ২০০৭-২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠা করেন এলাকার এ শেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ । তাদের অর্থ ,মেধা ও আপোষহীন  মনোনিবেশের সমন্বয়ে গড়ে উঠা প্রতিষ্ঠানটি একঝাক তরুন মেধাবী দক্ষ আদর্শবান শিক্ষকদের মাধ্যমে বিদ্যালয়টি সব সময় শেষ্ঠত্বের সাক্ষর রাখছে ।বর্তমানে এ বিদ্যালয় থেকে অধ্যায়ন কৃত শিক্ষাথীরা প্রতি বছর মেডিকেল,ইন্জিয়ার সহ বিভিন্ন দেশ সেরা বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে অসংখ্য শিক্ষার্থী অধ্যায়ণ রত ও পড়াশুনা শেষ করে দেশ সেবায় নিয়োজিত ।বিদ্যলয়টি সাফল্যের ধারাবাহিকতায় ২০১৯ সালে এমপিও ভূক্ত হয় ।

আলহামদুলিল্লাহ এভাবে বিদ্যালয়টি তার ধারাবাহিকতা ধরে রাখলে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য ও উদেশ্য বাস্তবায়িত হবে ।